বাংলাওয়াশ! বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের বদৌলতে সবাই এই শব্দের সাথে বেশ পরিচিত। কিন্তু আপনি এই বাংলাওয়াশ কোথা থেকে আসলো?? কে প্রথম এই বাংলাওয়াশ এর সূত্র পাত করে?? কি জানেন না তো! আর তাই আপনাদের জন্য আজকের এই আয়োজন। তা হলে জেনে নিন কে এই বাংলাওয়াশ এর সূত্রপাত ঘটায়।
ক্যালেন্ডারে্র তারিখ ১৭ই অক্টোবর ২০১০। মিরপুরে বাংলাদেশ-নিউজল্যান্ড সিরিজের শেষ ম্যাচ। ৫ ম্যাচের সিরিজ হলেও প্রথম ম্যাচটি বৃষ্টির কারণে পণ্ড হয়ে যায়। প্রথম তিনটি ম্যাচেই জয় লাভ করে বাংলাদেশ। সিরিজের শেষ ম্যাচে তখন শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি। নিউজল্যান্ডের দরকার ৪ বলে ৪ রান। বল হাতে রুবেল হোসেন। নিউজল্যান্ডের শেষ ব্যাটসম্যান কাইলি মিলসকে বোল্ড করে ম্যাচ জয়ের সঙ্গে সঙ্গে হোয়াইটওয়াশও নিশ্চিত করলেন রুবেল। ধারাভাষ্য কক্ষ থেকে আতাহার আলী খান বলে উঠলেন, বাংলাওয়াশ। ক্রিকইনফোতে লেখা হলো- আতাহার আলী খান এই হোয়াটওয়াশের নাম দিয়েছেন বাংলাওয়াশ।
এরপর থেকে বাংলাওয়াশ শব্দটি ক্রিকেট ইতিহাসেরই অংশ হয়ে যায়। বাংলাদেশের সীমানা পেরিয়ে বিশ্বের নানা সংবাদমাধ্যমে ব্যবহৃত হয় এ শব্দ। বাংলাদেশের সামনে এখন আরেকটি ঐতিহাসিক বাংলাওয়াশের সুযোগ। পাকিস্তানকে বাংলাওয়াশ করার স্মৃতিটা একেবারেরই টাটকা। এমন মধুর স্মৃতি নিউজিল্যান্ড, জিম্বাবুয়েরের বিরুদ্ধেও পেয়েছিলাম আমরা। তবে ভারতকে বাংলাওয়াশ করতে পারলে তা হবে অনন্য। এমনিতে গতকিছুদিন বাংলাদেশ-ভারত লড়াই মাঠ এবং মাঠের বাইরে উত্তাপ ছড়াচ্ছে। অনেকেই বলছেন, ভারত-পাকিস্তান লড়াই একসময় যেমন ক্রিকেটে সবচেয়ে উত্তেজনাময় ছিল, বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচও তাই হবে।
এমনিতে টিম বাংলাদেশ শান্ত। ভারতকে দু ম্যাচে উড়িয়ে দেয়ার পরও কোন কোন হাকডাক নেই। ভারতীয় দলকে প্রাপ্য সম্মানই দিচ্ছেন তারা। তবে ভেতরে ভেতরে প্রস্তুত হচ্ছেন সবাই। মাশরাফি থেকে মুস্তাফিজুর- সবাই দৃড় সংকল্পবদ্ধ। ভারতকে বাংলাওয়াশের এমন সুযোগ হারাতে চায় না বাংলাদেশ।
খবর ইন্টারনেট