Showing posts with label জেনে রাখা ভালো. Show all posts
Showing posts with label জেনে রাখা ভালো. Show all posts

সফল উদ্যোক্তা হবার জন্য কিছু অতি প্রয়োজনীয় দক্ষতা

সফল উদ্যোক্তা হবার জন্য কিছু অতি প্রয়োজনীয় দক্ষতা
আপনি হয়ত কেবলই ক্যারিয়ার শুরু করেছেন অনেক আশা নিয়ে, ম্যানেজার অথবা সদ্য ইউনিভার্সিটি পাশ করেছেন অনেক স্বপ্ন নিয়ে। আমরা যে-ই হই না কেন অথবা যাই করি না কেন আমাদের সকলেরই একটাই ইচ্ছা থাকে জীবনে সফল হবার। অন্যের জন্য কাজ করতে করতে আমরা উদ্যোক্তা হয়ে উঠতে পারি অনায়েসেই এবং পূরণ হতে পারে সেই ইচ্ছাটাও।
কিন্তু সফলতার পথ কখনই কুসুমাতীর্ণ নয়। যদি এই পথে চলতে হয় তাহলে অবশ্যই আপনার দরকার কিছু দক্ষতা যা আপনাকে অনায়েসেই অন্যদের তুলনায় উপরে তুলে ধরবে। 




দ্রুত সিদ্ধান্ত নেয়াঃ

একজন সফল উদ্যোক্তা হবার জন্য যে দক্ষতা অবশ্যই দরকার তা হচ্ছে  সঠিক এবং স্মার্ট সিধান্ত নেয়া খুব কম সময়ের মধ্যেই। এগুলো হতে পারে নতুন ফান্ডিং খোঁজা অথবা সঠিক প্রজেক্টে হাত দেয়া।

নতুন ধারণার উদ্ভাবন হওয়াঃ

নতুন এবং উদ্ভাবনী ধারনা থাকা সফল উদ্যোক্তা হবার অন্যতম শর্ত। এ হতে পারে কোন নতুন ব্যবসায়িক মডেল তৈরি করা, চতুর কোন ধারণার উদ্ভাবন করা যাতে ক্রেতা আকর্ষিত হয়।   

প্ল্যানিং দক্ষতাঃ

ব্যবসা কখনই সফল হতে পারে না যতক্ষণ না কোন পরিষ্কার ধারনা থাকে সামনে আগানোর। নিজ থেকেই সামনে আগিয়ে যাবার ভিশন থাকা এবং সে অনুযায়ী তৈরি থাকা একটি অতি প্রয়োজনীয় গুণ। তাই একজন উদ্যোক্তার জানতে হবে প্ল্যান করা যদি সে কম সময়ের মধ্যে তার অরগানাইজেশনের প্রোগ্রেস চায়।

মাল্টি টাস্কিং এবিলিটিঃ

শুরুর কোম্পানিগুলোতে বাধা আসা খুবই স্বাভাবিক। কিন্তু এর মাঝেই মাল্টি টাস্কিং করতে পারলে অনায়েসেই বুস্ট হবে কর্মদক্ষতার তাও খুবই কম সময়ের মধ্যে ।     

রিস্ক নেবার দক্ষতাঃ

প্রতিটি নতুন ব্যবসা শুরু করার কিছু রিস্ক থাকে যা আমাদের ম্যানেজ করতে হয়। উদ্যোক্তা হতে হলে এই রিস্ক নেবার মনবল থাকতে হবে যাতে ব্যবসায় কিছু উন্নয়ন পাওয়া যায়।

স্ব-উচ্চাকাঙ্ক্ষাঃ

উদ্যোক্তাদের নিজেদেরই নিজেদের মোটিভেট করার ক্ষমতা থাকতে হবে যাতে নতুন চ্যালেঞ্জ গ্রহন করতে পারেন। এতে করে তারা নিজেরাই নিজেদের সামনে এগিয়ে নিতে পারবেন এবং মোটিভেশনের জন্য অন্যের উপর নির্ভর করতে হবে না। 

মার্কেট রিসার্চ স্কিলঃ

মার্কেট রিসার্চ করতে পারার দক্ষতা একজন উদ্যোক্তার জন্য খুবই জরুরী যাতে করে ইন্ডাস্ট্রি, প্রতিযোগী এবং কাস্টমার সম্পর্কে জানা যায়।   

সমস্যা সমাধানের ক্ষমতাঃ

যদি সমস্যার দ্রুত সমাধান না হয় তাহলে, উদ্যোক্তার জন্য তার ব্যবসা ধরে রাখা অনেক কষ্টকর। প্রত্যেক উদ্যোক্তার সমস্যা সমাধানের জন্য উপযোগী পদ্ধতি জানতে হবে।

লিডারশিপঃ 

নিঃসন্দেহে প্রত্যেক উদ্যোক্তার থাকতে হবে একটি অনুকরণীয় ব্যক্তিত্ব যাতে সে তার অনুষঙ্গদের অনুপ্রেরণা দিতে পারে।        

নেগশিয়েশনের দক্ষতাঃ

কার্যকরীভাবে দরকষাকষি করা এবং আলোচনা করা একটি অত্যন্ত উপযোগী দক্ষতা। যা আপনার সংস্থার উন্নয়ন নিশ্চিত করবে। অন্য কথায়, যখন কোনও সুযোগ তৈরি হয় তখন তখন একজন উদ্যোক্তা বিক্রি করার সময় বেশি দামের বিক্রয় এবং কেনার সময় উচ্চ দামে ক্রয় করার জন্য আলোচনার দক্ষতা থাকতে হবে।

যোগাযোগের দক্ষতাঃ

একটি স্টার্ট আপ কোম্পানির মসৃণ অপারেশন নিশ্চিত করার জন্য, অসামান্য যোগাযোগ দক্ষতা, মৌখিক, অ-মৌখিক এবং লিখিতভাবে প্রয়োজন হয়। যোগাযোগের দক্ষতা বিনিয়োগকারীদের, কর্মীদের এবং গ্রাহকদের কাছে কার্যকর ধারণাগুলি সক্ষম করে।

শোনার দক্ষতাঃ

অধিকাংশ সময়ে, বার্তা প্রেরণ করার ক্ষমতা একটি প্রতিষ্ঠানের অংশীদারদের সঙ্গে একটি সুদৃঢ় সম্পর্কের জন্য যথেষ্ট নয়। অতএব, একজন উদ্যোক্তাকে অবশ্যই শোনার দক্ষতা থাকতে হবে, যা তাদের কর্মীদেরকে ভালভাবে বুঝতে সাহায্য করবে।

ডাটা এনালাইসিসঃ

প্রায় সব ইন্ডাস্ট্রি এখন ডাটা ব্যবহার করে সামনে আগানোর জন্য। একজন উদ্যোক্তার কমপক্ষে তথ্য বিশ্লেষণ দক্ষতা কিছু স্তর থাকতে হবে যাতে ক্রয় বিক্রয়ের সম্পর্কে প্রাথমিক ধারনা সে করতে পারে ।

সামাজিক মাধ্যমে মার্কেটিংঃ

সোশ্যাল মিডিয়া একটি ছোট স্টার্ট আপের জন্য প্রচারের একটি ব্যতিক্রমী উত্স তা প্রমাণিত হয়েছে। অতএব, সোশ্যাল মিডিয়ায় মার্কেটিং দক্ষতা থাকা একটি উদ্যোক্তার জন্য তাদের ব্যবসা প্রসারের জন্য একটি আলাদা মাইল ফলক হতে পারে।

জেনে নিন প্রযুক্তির কিছু সংক্ষিপ্ত নামের পূর্ণরুপ- পর্ব-২

জেনে নিন প্রযুক্তির কিছু সংক্ষিপ্ত নামের পূর্ণরুপ- পর্ব-২
বর্তমান যুগ হচ্ছে টেকনোলোজির যুগ। প্রতিনিয়ত আমরা কত ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহার করি তার কোন হিসেব নেই। এমন অনেক প্রযুক্তি আমরা প্রতিদিন ব্যবহার করি যেগুলোকে আমরা সংক্ষিপ্ত নামেই জানি। এই প্রযুক্তি গুলোর পূর্ণরুপ আছে বলে আমরা জানি-ই না বা জানার চেষ্টাও করিনি কোন দিন। আজ থেকে আমি আপনাদের সাথে ধারাবাহিক ভাবে শেয়ার করব কিছু সংক্ষিপ্ত নামের পূর্নরুপ। আজ থাকছে দ্বিতিয় পর্ব-



ক্রমিক নং সংক্ষিপ্ত নাম পূর্ণরূপ
২২ AAC Advanced Audio Coding
২৩ GIF Graphic Interchangeable Format
২৪ BMP Bitmap
২৫ JPEG Joint Photographic Expert Group
২৬ SWF Shock Wave Flash
২৭ WMV Windows Media Video
২৮ WMA Windows Media Audio
২৯ WAV Waveform Audio
৩০ PNG Portable Network Graphics
৩১ DOC Document (Microsoft Corporation)
৩২ PDF Portable Document Format
৩৩ M3G Mobile 3DGraphics
৩৪ M4A MPEG-4 Audio File
৩৫ NTH Nokia Theme (series 40)
৩৬ THM Themes (SonyEricsson)
৩৭ MMF Synthetic Music Mobile Application File
৩৮ NRT Nokia Ringtone
৩৯ XMF Extensible Music File
৪০ WBMP Wireless BitmapImage
৪১ DVX DivX Video
৪২ HTML Hyper Text Markup Language


ঈদ-উল-আযহা এবং আমাদের করনীয়

ঈদ-উল-আযহা এবং আমাদের করনীয়

বছর ঘুরে আবার এলো আত্মত্যাগের মহিমাময় ঈদ-উল-আযহা। হাজার বছর পূর্বে মরুময় তেপান্তরে মহান আল্লাহ তায়ালা কর্তৃক একেরপর এক অগ্নি পরীক্ষা যখন নবী হযরত ইব্রাহিম (আঃ) সুদৃঢ়তার সাথে
মোকাবিলা করে যাচ্ছিলেন ঠিক তখনই নাযিল হয় এমনই এক ওহী যার ফলে তাকে নিতে হয় তাঁর জীবনের সবচেয়ে কঠিন সিদ্ধান্ত। নির্দেশ আসে তিনি যেন বিসর্জন দেন তাঁর জীবনের সবচেয়ে প্রিয় বস্তু। অঝোর নয়নে কাঁদতে কাঁদতে বায়োবৃদ্ধ নবী তৈরি হন তাঁর সবচেয়ে প্রিয় পুত্র ইসমাইলকে কোরবানি দেবার জন্য। মনের সব কষ্ট চেপে তিনি যখন প্রস্তুত হলেন তাঁর সবচেয়ে প্রিয় সন্তান ইসমাইল (আ) কে আল্লাহর নামে কোরবানি করার ঠিক তখনই মহান আল্লাহ তায়ালার নির্দেশে পুত্র ইসমাইলের পরিবর্তে একটি দুম্বার কোরবানি হয়ে গেল। সর্বশক্তিমান আল্লাহ তায়ালা গায়েবী নির্দেশে অশ্রুসিক্ত ব্যাকুল পিতা-পুত্রের নিকট স্বীয় কুদরতের জানান দিলেন। তিনি জানালেন মানুষের শুধু প্রার্থনায় নয় বরঞ্চ নিয়ত এবং উদ্দেশ্য গুনে তিনি ফজিলত দান করেন। মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন,  “অবশেষে যখন পিতা-পুত্র উভয়ে আল্লাহর কাছে নিজেদের কে সোপর্দ করলো এরং ইবরাহীম আ. পুত্রকে উপুড় করে শুইয়ে দিলেন (যবেহ করার জন্যে), তখন আমরা তাকে সম্বোধন করে বললাম, হে ইবরাহীম! তুমি সপ্নকে সত্যে পরিণত করে দেখিয়েছ। আমরা সৎকর্মশীলদের এরূপ প্রতিদানই দিয়ে থাকি। বস্তুত এ এক সুস্পষ্ট কঠিন পরীক্ষা। আর আমরা বিরাট কুরবানী ফিদিয়া স্বরূপ দিয়ে তাকে (ইসমাঈলকে) উদ্ধার করেছি”। { সূরা আস-সাফ্ফাত ১২০-১০৭।}

স্রষ্টার সন্তুষ্টি লাভের আশায় বিশ্বব্যাপী মুসলিমগন হযরত ইব্রাহীম (আঃ) এর এই মহিমান্বিত ত্যাগ স্বীকারকে প্রতি বছর জিলহজের ১০-১২ তারিখের মধ্যে পালন করেন তাদের প্রিয় পশু কোরবানির মাধ্যমে। নবী মুহাম্মদ (সাঃ) আমাদের শিখিয়ে দিয়েছেন কোরবানি করার নিয়মাবলী। পাশাপাশি কোরবানি পরবর্তী রয়েছে কিছু বিধি নিষেধ। আসুন জেনে নেই দিনটিতে আমাদের করনীয়সমূহঃ

  • ইসলামি আইন অনুযায়ী কোরবানি ফরজ হবার জন্য রয়েছে বিভিন্ন শর্ত। সবার উপর কোরবানি ফরজ নয়। তাই কমদামি পশুর তুলনা করে অথবা ‘মুসলিম হয়েও কেন কোরবানি করছেন না’ এইরূপ অনর্থক কথা বলে মানুষের সামর্থ্যের উপহাস করা থেকে দূরে থাকুন। ইহা কোরবানির শিক্ষা নয়।
  • অবশ্যই সামর্থ্য অনুযায়ী কোরবানি আল্লাহর কাছে শ্রেয়। কোরবানির বিধান নাযিল হয়েছেই আপনার উদ্দেশ্য এবং ইচ্ছা পরীক্ষা করার জন্য।আল্লাহর কাছে আপনার অর্থ- বিত্ত পৌঁছাবে না।
  • পরিবার, প্রিয়জনের প্রতি মমতা এবং গরিব-দুঃখীর কষ্ট উপলব্ধি করা কোরবানির অন্যতম শিক্ষা। তাই পশু কোরবানি হবার সাথে সাথেই তিনভাগ করে ফেলুন। নিশ্চিত করুন গোশত কিনতে না পারা অসহায় দুস্থদের ভাগের সঠিক বণ্টন। আপনার কোরবানি গ্রহনযোগ্য হবে না যদি না তা থেকে কোন গরীবের উদরপূর্তি হয়।
  • পশু কোরবানির জন্য দক্ষ কসাই নিয়োগ করুন। পশুর ধমনী পুরোপুরি কাটা যায় সেদিকে যেন লক্ষ্য থাকে। অন্যথায় প্রাণীর তো কষ্ট হবেই আপনার কোরবানিও ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে।
  • কোরবানির পর সাথে সাথেই চামড়া ছাড়ানো শুরু করবেন না। পশুর দেহ আগে নিথর হতে দিন এবং রক্ত সম্পূর্ণরুপে বের হতে দিন। নয়ত রক্তাক্ত মাংস এবং শিরা থেকে মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর পশুর এনজাইম এবং ব্যাকটেরিয়া সহজেই সংক্রমণ ঘটাবেতাবে।
  • পশুর চামড়া বিভিন্ন সল্ট ট্রিটমেন্টের মাধ্যমে সংরক্ষণ করুন সাথে সাথেই।
  • কোনভাবেই ক্ষুধার্ত পশু কোরবানিযোগ্য নয়।
  • বিচ্ছিন্ন স্থানে কোরবানি দিয়ে পশুর উচ্ছিষ্ট ও বর্জ্য না ফেলে অথবা যত্রতত্র কোরবানি না দিয়ে এক এলাকার সকলে একটি নির্দিষ্ট স্থানে কোরবানি দিন। উৎকট দুর্গন্ধ করে মানুষের বসবাসের অযোগ্য করবেন না।
  • নিজ উদ্যোগে নিজের পশুর ময়লা পরিষ্কার করে ডিসপজেবল ব্যাগে ভরে ফেলুন। মাংস কাটা শেষ হলে সাথে সাথেই প্রচুর পানি এবং ব্লিচিং পাউডার ব্যবহার করুন। ব্যাকটেরিয়া ছড়িয়ে পরার জন্য কোনরকমেরই আবর্জনা ফেলে রাখা যাবে না।
  • আপনার আশেপাশে অনেক অমুসলিম মানুষ থাকতে পারেন। কোরবানি তাদের কাছে গ্রহণীয় নাও হতে পারে। ভিন্ন রীতির মানুষের আচার পালনে ভিন্নতা থাকতেই পারে। তাই বলে তাদের অস্বস্তি বাড়ানোর জন্য উদ্দেশ্যমূলকভাবে উস্কানিমূলক কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকুন। নবী মুহাম্মদ (সাঃ) এর শিক্ষা এটা নয়।
  • পশু কোরবানির সময় প্রাণীর মস্তিষ্কে শক ওয়েভ তৈরি হয়, যার ফলে পশু দেহে ক্ষতিকারক এনজাইম এবং মস্তিষ্কে রক্তজমাট বাঁধতে পারে। রান্নার পূর্বে তাই ভালভাবে ধুয়ে এবং রক্ত বের হয়ে যাওয়া পর্যন্ত পর্যাপ্ত সময় দিন।
  • পশুদের হ্রদরোগ থাকতে পারে। যার ফলে সংশ্লিষ্ট এনজাইম মাংসের সাথে মানুষের দেহে প্রবেশ করলে উচ্চরক্তচাপ অথবা স্ট্রোকের ঝুঁকি শতভাগ বাড়বে।
  • অতিরিক্ত গোশত খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। কোলেস্টেরল এবং অন্যান্য প্রানীজ এনজাইম যতটুকু সম্ভব এড়িয়ে চলুন। হযরত উমর বলেন ‘ মাংশের স্বাদ হতে সাবধান কারন ইহা মদের মত আসক্তির কারন’।      
  • পশুর চামড়া ইতিবাচক কাজে ব্যয় করুন। চামড়া বিক্রির কাজ সন্ধ্যার আগেই শেষ করুন নয়ত তাতে ইস্ট এবং ফাঙ্গাল ইনফেকশন ছড়াবে।
কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেন,বলুন! হে মুহাম্মদ! আমার নামায, আমার কুরবানী, আমার জীবন ও আমার মরণ সব কিছুই আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের জন্যে।’’ { সূরা আল আনআম-১৬২}। সুতরাং আমাদের কোরবানির একমাত্র উদ্দেশ্য হওয়া উচিত আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ। পরিবার এবং গরিব দুঃখীর সাথে ঈদের আনন্দ ভাগ করে নিয়ে দুস্থদের মুখে গোশত তুলে দেয়ার মাধ্যমে ক্ষুধার্তের কষ্ট অনুভব করার মাঝেই রয়েছে ঈদের সার্থকতা। আসুন পরিছন্নভাবে এবং ধর্মীয় মর্যাদায় পালন করি ঈদ-উল-আযহা।

জেনে নিন প্রযুক্তির কিছু সংক্ষিপ্ত নামের পূর্ণরুপ- পর্ব-১

জেনে নিন প্রযুক্তির কিছু সংক্ষিপ্ত নামের পূর্ণরুপ- পর্ব-১
বর্তমান যুগ হচ্ছে টেকনোলোজির যুগ। প্রতিনিয়ত আমরা কত ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহার করি তার কোন হিসেব নেই। এমন অনেক প্রযুক্তি আমরা প্রতিদিন ব্যবহার করি যেগুলোকে আমরা সংক্ষিপ্ত নামেই জানি। এই প্রযুক্তি গুলোর পূর্ণরুপ আছে বলে আমরা জানি-ই না বা জানার চেষ্টাও করিনি কোন দিন। আজ থেকে আমি আপনাদের সাথে ধারাবাহিক ভাবে শেয়ার করব কিছু সংক্ষিপ্ত নামের পূর্নরুপ। আজ থাকছে প্রথম পর্ব-



ক্রমিক নং সংক্ষিপ্ত নাম পূর্ণরূপ
০১ Wi-Fi Wireless Fidelity
০২ HTTP Hyper Text Transfer Protocol
০৩ HTTPS Hyper Text Transfer Protocol Secure
০৪ URL Uniform Resource Locator
০৫ IP Internet Protocol
০৬ VIRUS Vital Information Resource Under Seized
০৭ SIM Subscriber Identity Module
০৮ 3G 3rd Generation.
০৯ GSM Global System for Mobile Communication.
১০ CDMA Code Division Multiple Access
১১ UMTS Universal Mobile Telecommunication System
১২ RTS Real Time Streaming
১৩ AVI Audio Video Interleave
১৪ SIS Symbian Installer System
১৫ AMR Adaptive Multi-Rate Codec
১৬ JAD Java Application Descriptor
১৭ JAR Java Archive
১৮ MP3 MPEG player lll
১৯ 3GPP 3rd Generation Partnership Project
২০ 3GP 3rd Generation Project
২১ MP4 MPEG-4 video file

সফল সময় পরিচালনার জন্য ৯টি সহজ টিপস

সফল সময় পরিচালনার জন্য ৯টি সহজ টিপস

যদি কিছু জানতে চান তাহলে কোন ব্যস্ত ব্যক্তি কে জিজ্ঞেস করুনবেঞ্জামিন ফ্র্যাংকলিন
কখনো খেয়াল করেছেন , সময় কতটা দ্রুত চলে যায়? আপনি যখন প্রচুন্ড ব্যস্ততায় ডুবে থাকেন, সময় কোন দিক দিয়ে পার হয়ে যায় আপনি তা টেরও পান না, দেখতে দেখতে ১টি দিন পার হয়ে যায়। অন্যদিকে আপনি যখন একঘেয়ে সময় কাটান, সময় তখন ধির গতি লাভ করে আর আপনাকে বিভিন্ন প্রশ্ন করতে থাকে।
 
আপনি যদি আপনার প্রয়োজনীয় কাজ ঠিক সময় অনুযায়ী সম্পন্ন করতে না পারাদের দলে হয়ে থাকেন, তাহলে বুঝতে হবে আপনার সময় পরিচালনা বা টাঈম ম্যনেজম্যন্ট দক্ষতা একেবারেই নেই বললেই চলে। এক্ষেত্রে যা হয়, আপনি হয়ত কম প্রয়োজনীয় কাজ আগে করবেন, অন্যদিকে আপনার অত্যন্ত প্রয়োজনীয় কাজ হয়ত আপনি রেখে দিয়েছেন। যাইহোক, আপনি কিছু কৌশল অবলম্বন করে এই দুর্দশা কাটিয়ে উঠতে পারেন।  কার্যকরী সময় ব্যবস্থাপনা একজন কর্মী কে আরও বেশি দক্ষতাসম্পন্য করে তোলে।

১। নোট/ ডাইরি  রাখুনঃ

অধিকাংশই প্রশ্ন করে থাকেন, গুরুত্বপূর্ণ  সময় গুলো সম্পরকে কিভাবে মনে রাখব। এক্ষেত্রে আপনি যদি এই সময় টি নোট করে রাখেন তাহলে আপনার জন্য সুবিধা হয়। বিশেষত এই মুহূর্তে যদি আপনার প্রচুর কাজের চাপ থাকে আর আপনার সাথে যদি প্রত্যেকটা কাজ সময় অনুযায়ী নোট করে রাখেন, সেক্ষত্রে আপনি লাভবান হবেন।  আপনি যদি আপনার প্রতিদিনের কাজ সময় অনুযায়ী লিখে রাখেন তাহলে আপনি বুঝতে পারবেন আসলে কেন আপনি এতদিন সময়মত কাজ করতে পারেন নি।

২। প্রতিদিনের প্ল্যান করুনঃ

সপ্তাহ, মাস কিংবা বছরের প্ল্যান করুন। আপনি যখন আপনার অফিসের ডেস্কে এসে বসেন, প্রথমেই এক গ্লাস পানি নিন তারপর আপনার পুরো দিনের পরিকল্পনা করুন। ৩০ মিনিট সময় নিন এবং চিন্তা করুন সারাদিন আপনাকে আজ কি কি করেত হবে। আজকের দিনে কোন কোন কাজের প্রাধান্য আগে দিতে হবে, আপনার আজকের অর্জন কি হবে। এই পদ্ধতি আপনাকে সাহায্য করবে যেন আপনি কোন গুরুত্বপূর্ণ কিছু না ভুলে যান, আর আপনার কি কি করণীয় আছে তা মনে করিয়ে দিতে সাহায্য করে।

৩। বিরতি নিনঃ

আপনি সারাদিন ডেস্কে বসে আছেন আর তাই আপনিই সেরা কর্মী এমনটা ভাবলে কিন্তু ভুল করছেন। এমন টা হলে কিন্তু আপনি মানসিক ক্লান্তি তে ভুগবেন।মানসীক ক্লান্তিআপনাকে আরও বেশি ক্লান্ত করে দেয়, সেই সাথে,আপনার কাজ করার উদ্দিপনা আপনার ইচ্ছা শক্তিকে কমিয়ে আনে। ফলাফল স্বরুপ আপনার কাজ করার ক্ষমতা কার্যদক্ষতা কমিয়ে আনে। সুতরাং কাজের ফাকে ফাকে বিরতি নিন। কিছুক্ষন হাটাহাটি করুন, হাতমুখে হালকা পানি দিন, হালকা পানীয় নিতে পারেন। এতে করে আপনার কাজের গতিশীলতা বাড়বে

৪। একাধিক কাজের  চাপঃ

আপনি কি খুব ব্যস্ত? আপনার কাজের ভিষণ চাপ, সেক্ষেত্রে যা করবেন, কাজগুলোকে ভাগ করে নিন আপনি কোন ক্লায়েন্ট এর সাথে কথা বলছেন এবং একই সাথে যদি ইমেইল লিখতে থাকেন, খুব বেশি কষ্টদায়ক মনে হয়না হবে। ভুল। এভাবে কাজ করলে আপনার ভুল হবার সম্ভাবনা বেশি থাকে তাই যখনি কোন কাজ করবেন মনোযোগ সহকারে করবেন। যদি কাজের বেশি চাপ থাকে তাহলে তার একটি সময়সূচি করে নিতে পারেন।

৫। সব কাজ একবারে শেষ করতে পারবেন নাঃ

খুব সহজ না যখন আপনার কাজের চাপ অনেক বেশি থাকে, আপনি এক্ষেত্রে যতই সক্রিয় থাকুন না কেন। একটি কার্যকর সময় ব্যবস্থাপনা কৌশল আপনাকে সাহায্য করবে আপনি যাতে সময়মত আপনার সব কাজ শেষ করতে পারেন। প্রত্যক্টি দিন আপনার কাছে নতুন মনে হবে যখন আপনি প্রতিদিনের কাজ সময় মত সম্পন্ন করতে পারবেন।

৬। না বলতে শিখুনঃ

একজন সফল মানুষের অন্যতম গুণ হল সুন্দর ভাবে  নাবলতে পারা। একদিন আপনি অফিসে কাজ করার জন্য যেটুকু সময় পান তাতে আপনার বাড়তি কাজের সময় থাকেনা। আপনি বিভিন্ন পদ্ধতি তে না বলতে পারবেন। আপনি যদি সরাসরিনাবলতে ব্যর্থ হন , আপনি অন্যভাবেও বলতে পারেন, যেমন, যেমন আপনি বলতে পারেন, এই মুহূরতে আপনি অন্য কাজে ব্যস্ত আছেন, অথবা, এটা আপনি করলেই ভাল হবে কারন আপনি এর জন্য উপযুক্ত।

৭।  বিক্ষিপ্ত কার্য পরিচালনাঃ 

ধ্রুন, আপনি কাজ করার জন্য প্রস্তুত এবং আপনার এর জন্য যা দরকার তার সব কিছুই আছে। তারপর আপনার ফোন কথা বলছেন, ইমেইল চেক করছেন, মাঝে মাঝে স্যোশ্যাল মিডিয়াতে যাচ্ছেন। হয়ত এই ২০ মিনিট আপনি ব্যয় করেছেন কিন্তু কোন কাজ আপনি করেন নি। কি হবে আপনার সাথে ? আপনি শুধু বিক্ষিপ্ত ভাবে আপনার সময় পার করেছেন। সুতরাং সমইয় জ্ঞান সম্পরকে সচেতন হোন। আপনার ফোন সংযোগ বন্ধ করুন, স্যোশ্যাল মিডিয়া থেকে বিচ্ছিন্ন থাকুন শুধু মাত্র ঘন্টার জন্য। দেখবেন আপনি আপনার কাঙ্খিত কাজ গুলোর প্রায় অনেক্টুকু সম্পন্ন করে ফেলেছেন।

৮। গড়িমসি করবেন নাঃ

আবারও বলছি , গড়িমসি করবেন না। আপনার যদি কোন কাজ শুরু  করতে সমস্যা হয়, তাহলে এক কাজ করুন, কাজ টিকে ছোট করে ভেঙ্গে নিন। কোন বড় ছবির দিকে তাকান, আর বড় ছবিটির যেকন অংশের দিকে তাকান, মানুষ কখনোই একটি বড় কাজ একেবারে সম্পন্ন করতে পারেনা, কিন্তু অনেকেই চিন্তা করে থাকে তারা পারবেন। এক্ষেত্রে তারা কোন কাজ সম্পন্ন করতে পারেনা। সুতরাং আপনি কি করবেন ভাবুন। নিজেকে বলুন যে আপনি খুবি ছোট একটি কাজ করতে যাচ্ছেন যা খুব অল্প সময়ে শেষ হয়ে যাবে। কাজ শেষ আপনি নিজেকে নিজে বাহবা দিবেন। সুতরাং কোন বড় কাজ কে ছোট ছোট  অংশে ভাগ করে নিন।

৯। সময় কে ভাগ করে নিনঃ

মুল্যবান কিছু  অর্জন করতে দুটি জিনিস প্রয়োজন হয়: একটি পরিকল্পনা,অন্যটি  সময় ‘- লিওনার্ড বার্নস্টেন।। আমি পুরোপুরি এই উদ্ধৃতি সাথে একমত। সুতরাং সফলতা লাভের একমাত্র উপায় হল নির্ধারিত সময়ে আপনার কাজ শেষ করুন। সময় পরিচালনা আপনাকে এই দক্ষতা অর্জন সহায়তা করবে। আপনার কাজ আপনি ঠিক সময়ে সম্পন্ন না করলে যা হবে, আগামীকাল আপনাকে একই কাজ সময় ব্যয় করতে হবে সুতরাং আপনার সময় এর ঘাটতি হলে, চেষ্টা করুন ঠিক সময়ে কাজ টি শুরু করার।

বোনাস টিপস: সু-শৃঙ্খলাঃ

আপনি কতবার নিজেকে নিজে প্রেরনা দিয়েছেন?  এখানে সম্ভাবনা আছে সাথে উত্তর আছে। একটিই সমস্যা , যা হল প্রেরনা নিয়ে। আপনার নিজ প্রেরনা আপনাকে একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যায় নিয়ে যায়। প্রেরনা আপনার বন্ধু নয় এটা মনে রাখবেন। নিজের প্রতি নিজে বিশ্বাষ রাখুন এবং সু-শৃঙ্খল ভাবে কাজ করে যান। আপনার ডেস্কে বসে কাজ করুন, সময় নিরধারন করুন কখন কোন কাজ করবেন। আপনি যদি এই নিরধারিত সময়ের ভেতর কোন কাজ নাও করতে পারেন , সমস্যা নেই, কারণ আপনি যদি সু-শৃঙ্খল ভাবে এই পদ্ধতি পুনরাবৃত্তি করেন, যা কার্যকর সময় ব্যবস্থাপনা জন্য অন্যতম পদ্ধতি, অবশ্যই আপনি সফল হবেন। আপনার কাজের চাপ খুব বেশি থাকলে , আপনার মানসীক চাপ কমানোর জন্য আমাদের গাইড লাইন অনুসরন করতে পারেন। এতে করে আপনার পরবর্তী কাজের অনুপ্রেরণা বাড়বে। বিস্তারিত জানতে আজই ভিজিট করুন- https://www.everjobs.com.bd/ অথবা যোগাযোগ করুন জহুরুল হক খান  01959926050.