অবশেষে মুক্তি পাচ্ছে পরবাসিনী

ছবিটির শুটিং শুরু হয় ২০১২ সালে। এর পর ছবিটির শুটিং বন্ধ হওয়া আবার শুরু, আবার বন্ধ হওয়া নিয়ে চলে অনেকে গুঞ্জন। তখন অনেকেই তখন ভাবতে শুরু করেন ছবিটি হয়ত মক্তির আলো দেখতে পারবে না। পরিচালক স্বপন আহম্মদ বরাবরই এই সম্ববনাকে নাকচ করে এসেছেন। ছবিটির শুটিং শেষ হওয়ার দীর্ঘ দিন পরও তখন দর্শকদের মাজে কিছুটা হতাশা লক্ষ করা যার সোসাল মিডিয়াতে।



অনেক জল্পনা-কল্পনার পর অবশেষে ছবিটির মুক্তির দিন ঠিক করা হয়। গতকাল বিকেলে পরবাসিনী এর অফিসিয়াল ফেইসবুক পেইজে ছবির পরিচালক স্বপন আহম্মদ সয়ং এক ভিডিও বার্তা নিয়ে হাজির হন। সেখানে তিনি ছবিটি নিয়ে কথা বলেন।তিনি বলেন ছবিটি মুক্তির তারিখ আগামি ৫ এপ্রিল ২০১৭।  তিনি আরও বলেন- বাংলাদেশের প্রথম সায়েন্স ফিকশন ছবি পরবাসিনী। যেহেতু এটি প্রথম সেহেতু এখানে অনেক ভুল-ত্রুটি থাকবে। আমরা হয়তো সমাধান করতে পারিনি, আপনারা স্বাবাবিক ভাবে নিলেই আমরা খুশি হব।

এর আগে গত ২১শে অক্টবর ২০১৫ তে পরবাসিনী এর Youtube চ্যানেলে এর প্রথম ত্রেলর মুক্তি দেয়া হয়।



ছবিটিতে অভিনয় করেন ইমন, রিত মজুমদার, কাজী উজ্জ্বল, আফসার আলি, দাউদ হোসেইন, সোহেল খান,  এছাড়া বিভিন্ন চরিত্রে অংশ নিয়েছেন কলকাতার সব্যসাচী চক্রবর্তী, জুন মালিয়াসহ ফ্রান্স, জার্মানি ও ইতালির কয়েকজন শিল্পী অভিনয় করবেন।

serverpoint hosting banner

‘পরবাসিনী’র ছবির আইটেম গানে নেচেছেন ভারতীয় সুপার মডেল ও মিস ইউনিভার্স ইন্ডিয়া-২০১২ বিজয়ী উর্বশী রাওতেলা

আইটেম গান




পরবাসিনী’র গানগুলো লিখেছেন সৃজাতো, জাহিদ আকবর, জনি হক, রবিউল ইসলাম জীবন ও স্বপন আহমেদ। সুর ও সঙ্গীত পরিচালনায় ইবরার টিপু, আরিফ রানা, মুম্বাইয়ের ডিজে একেএস ও কলকাতার বিনিত রঞ্জন মিত্র। গান গেয়েছেন রুপংকর, সুকন্যা, কনা, পড়শী, এলিটা, তিশমা, ইবরার টিপু, তানভীর তারেক, পারভেজ ও আরিফ রানা।

বাংলাদেশ, ভারত, বেলজিয়াম, লুক্সেমবার্গ, ফ্রান্স, জার্মানি,  হল্যান্ড, সুইজারল্যান্ড ও আমেরিকার বিভিন্ন লোকেশনে ছবিটির শুটিং হয়েছে।



কাহিনি সংক্ষেপ
তেজস্ক্রিয়তার কারণে পৃথিবী প্রায় ধ্বংসের মুখে। মানুষের বসতির জন্য একটি নিরাপদ গ্রহ খুঁজে বের করার জন্য চেষ্টা করছেন বিজ্ঞানীরা। আর এতে সাফল্য অর্জন করে বাংলাদেশ। নভোচারীরা আবিস্কার করে মানব বসতির জন্য আদর্শ গ্রহ ‘এরিস-৩২’। দূষিত পৃথিবী থেকে মানুষেরা ‘এরিস-৩২’ গ্রহে বসতি গড়ার পরিকল্পনা করে। মানুষের এই পরিকল্পনা জানতে পারে ভিনগ্রহের প্রাণীরা। তারা মানুষের মহাকাশ প্রযুক্তি ধ্বংস করার মিশন নিয়ে পৃথিবীতে আসে। এ মিশনে নের্তৃত্ব দেয় মেহেজ নামের এক মেধাবী এলিয়েন। মানুষের স্যাটালাইট প্রযুক্তি ধ্বংস করার খুব কাছাকাছি পৌছে মেহেজ প্রেমে পড়ে যান পৃথিবীর এক তরুণের।







শেয়ার করুন

লেখকঃ

পূর্ববর্তী পোষ্ট
পরবর্তী পোষ্ট