Showing posts with label সাস্থ্য কথা. Show all posts
Showing posts with label সাস্থ্য কথা. Show all posts

আসুন জেনে নেই দুধ আর আনারস একসাথে খেলে কি হয়

আসুন জেনে নেই দুধ আর আনারস একসাথে খেলে কি হয়
"আনারস ও দুধ পর পর খেলে, মানুষ বিষক্রিয়ায় মারা যায়"- প্রচলিত এই কথা কি আপনি শুনেছেন বা সত্যি বলে মনে করেন?" অনেকেই এই কথা শুনেছেন, কিন্তু সত্য-মিথ্যা জানেননা।

পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই কোন না কোন খাবার অথবা কোন বিশেষ দুইটি খাবারের সংমিশ্রন সমন্ধে কুসংস্কার আছে। এদের কে বলা হয় "ফুড ট্যাবু"। এসব কুসংস্কার এর কোন বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই, কোন না কোন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এইসব "ফুড ট্যাবু" এর উদ্ভব হয়। আনারস ও দুধ একসঙ্গে খেলে বিষক্রিয়া ঘটে- এটা সেরকম ই একটা "ফুড টাবু"। এর কোন বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই।
দুধ+আনারস

জেনে নিন আনারসের সাথে দুধ মিশিয়ে খেলে আপনার বড়জোর কি হতে পারে। আনারস এসিডিক একটা ফল। দুধে আনারস মেশালে দুধ ফেটে যেতে পারে। ফেটে যাওয়া দুধ খেলে আপনার খুব বেশি হলে পেট খারাপ হতে পারে, কিন্তু বিষক্রিয়ার কোন সম্ভাবনা নেই। দুধের সাথে অন্য যে কোন এসিডিক ফল খেলেও আপনি একই সমস্যায় পরতে পারেন। তাছাড়া আপনারা সবাই জানেন যে আমাদের পাকস্থলী এসিডিক। তাই পেট এ যাওয়ার পর দুধ ফাটবেই, সেটা আপনি আনারসের সাথে না খেলেও।

 কি কারনে এই "ফুড ট্যাবু" টার উদ্ভব হতে পারে -

► কাচা আনারস প্রবল রকম কটু ও তিক্ত স্বাদের। এটি বমি উৎপাদনকারী এবং কিছুটা বিষাক্ত। কেউ কাঁচা আনারসের সাথে দুধ খাওয়ার ফলে কোন ধরনের দুর্ঘটনায় এই "ফুড ট্যাবু" এর উদ্ভব হতে পারে।
► আনারস এসিডিক। খালি পেটে আনারস খেলে প্রচন্ড পেটে ব্যথার তৈরী হয়। কোন গ্যাস্ট্রিক এর রোগীর খালি পেটে আনারসের সাথে দুধ খাওয়ার ফলে এই "ফুড ট্যাবু" এর উদ্ভব হতে পারে।
► ল্যাকটোস ইনটলারেন্স নামে একটি রোগ আছে, যেই রোগের রোগীরা দুধ হজম করতে পারেনা। ল্যাকটোস ইনটলারেন্স এর কোন রোগীর ঘটনাবশতঃ দুধ এর সাথে আনারস খেয়ে ফেলায় পুরো দুধ-আনারস মিশ্রন কে দোষারোপ করে এই ট্যাবুর সূত্রপাত হতে পারে।
 আনারস মিস্রিত দুধ


ট্যাবুটার উদ্ভব এর কারণগুলো আনুমানিক হলেও, আনারস-দুধের মিশ্রনে যে বিষাক্ত নয় তা প্রমাণিত। বাইরের দেশে মানুষ অহরহই "পাইনএপেল মিল্কসেক", "পাইনএপেল স্মুথি" খায় যাতে আনারসের সঙ্গে দুধের মিশ্রনে তৈরী হয়। তাছাড়া পাইনএপেল ফ্লেভারের দই এবং কটেজ চীজ (একধরণের পনির) এর সাথে আনারসের টুকরো খাওয়ার প্রচলন ও অনেক দেশে আছে। সুতরাং তারা আনারস-দুধের মিশ্রন খেয়ে দিব্যি বেচে আছে। আনারস-দুধের মিশ্রনের চাইতে আমরা যে ফরমালিন যুক্ত ফল খাই তা অনেক বেশি ক্ষতিকর!!!

বাংলাদেশে এই ট্যাবু এমন ভাবে ছড়িয়ে পড়েছে বা প্রচলিত যে কেউ যদি আনারস আর দুধ এক সাথে খায় তা হলে সে ভয়েই মরে যেতে পারে।
বিঃদ্রঃ আমি কখনো এই খাবার এক সাথে খেয়ে দেখি নি। আপনাদের কারো এই অভিজ্ঞতা থাকলে শেয়ার করতে পারেন।

জেনে রাখুন গাজরের উপকারিতা

জেনে রাখুন গাজরের উপকারিতা
আমারা কম-বেশি সবাই জানি গাজর একটি শীতকালিন সবজি। এটি একপ্রকার মূলজ সবজি। এর বৈজ্ঞানিক নাম 'ডকাস ক্যারোটা'। গাজর যেমনি উপরিকারি তেমনি পুস্টিকর খ্যদ্য। এখন আমি আপনাদের জানাব গাজরের উপরিকাতা।
উপরিকাতাঃ গাজরে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন 'এ' আছে। শিশুদের গাজরের রস খাওয়ালে দাঁত বেরুতে কোন কষ্ট করতে হয় না। গাজর খাবার হজমের পক্ষে উপকারি ভূমিকা রাখে। এটি শরীরের রঙ ফর্সা করে এবং মুখের সোন্দর্য বাড়ায়। ক্ষয়রোধ, অর্শ, ও পিত্তরোগে গাজর খেলে সুফল পাওয়া যায়। শরীরের পুষ্টি এবং বুদ্ধি বিকাশের ক্ষেত্রে খুবই উপকারি। সেদ্ধ করে পুটলি বেঁধে ক্ষত বা ফোঁড়ায় লাগালে তাড়াতারি সেরে যায়। গাজর শরিরকে নরম রাখে ও সুন্দর করে। গাজর শরীরের ওজন বাড়ায় ও শক্তি বৃদ্ধি করে। 

হাসুন এবার প্রাণ খুলে

হাসুন এবার প্রাণ খুলে
# অনেকে হাসেন খুব সুন্দর করে। হাসেন প্রাণ খুলেও। কিন্তু তার নিঃশ্বাসে আবার অনেকের প্রাণ যায় যায়, মানে দুর্গন্ধ বের হয়। লক্ষ্য করে দেখবেন, ব্যক্তি জীবনে আপনি এ রকম মানুষের মুখোমুখি নিশ্চয়ই হয়েছেন। এ রকম পরিস্থিতিতে না সহ্য করা যায়, না লোকটিকে বলা যায়।  কিন্তু আপনার হাসিতে কেউ এভাবে আক্রান্ত হচ্ছে কিনা তা কি একবার ভেবে দেখেছেন? ভাবছেন তা কি করে হয়! আমার নিঃশ্বাসে বাজে গন্ধ থাকলে তা কি আমি বুঝতে পারতাম না? অবাক হলেও ব্যাপারটি বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই সত্যি। যার নিঃশ্বাসে এ রকম গন্ধ বের হয় তিনি বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই বুঝতে পারেন না। এদিকে তার মুখের এই গন্ধ বুঝতে পেরেও লজ্জায় বলতে পারে না তার বন্ধুরা, অফিসের কলিগ বা পরিচিতজনরা। ফলে সে যখন কথা বলে অন্যরা তখন পড়ে নরক যন্ত্রণায়। মুখের এই বাজে গন্ধ হ্যালোটসিস নামে পরিচিত। খুব কমন অসুখ এটি। চিকিৎসাও বেশির ভাগ ড়্গেত্রেই খুব সহজ। সাধারণত তাদেরই মুখে গন্ধ বেশি হয় যারা নিয়মিত সকাল ও রাতে দাত ব্রাশ করেন না, যাদের বয়স বেড়ে গেছে, উঠতি বয়সী কিশোর, যারা আকাবাকা দাত ঠিক করতে ব্রেস পড়েন, পান বা সিগারেট খান, দাতের মাঢ়ি দিয়ে রক্ত পড়ে, দাতের মাঢ়িতে পাথরের মতো জমে কালো কালো হয়ে গেছে, যাদের মুখে দাতের ভাঙা অংশ রয়ে গেছে দীর্ঘদিন, কিছু ওষুধের (কিছু ভিটামিন সাপ্লিমেন্ট, অ্যান্টি-হিস্টামিন, ক্যালসিয়াম চ্যানেল ব্লকার, হার্টের কিছু ওষুধ ইত্যাদি) পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে, ডায়াবেটিস, ইনফেকশন হওয়া দাত ও দাতের মাঢ়ি, কিছু খাবার (পেয়াজ, রসুন, কফি) ইত্যাদি।
 কিন্তু কেন হয় দুর্গন্ধ? গবেষকরা দেখেছেন, দুর্গন্ধ হওয়ার পেছনে অনেক ব্যাকটেরিয়াও দায়ী। এসব ব্যাকটেরিয়া সম্মিলিতভাবে পচা গন্ধ তৈরি করে। তবে মুখে দুর্গন্ধ হওয়ার বেশির ভাগ কারণই দূর করা সম্ভব এবং তা বেশ সহজেই। আর সে কারণে প্রথমে যাওয়া দরকার একজন ডেন্টিস্টের কাছে। তিনি মুখ ও দাতের অবস্থা পরীক্ষ করে দেখে প্রয়োজনীয় চিকিৎসার ব্যবস্থা করবেন। যেমন, দাতের মাঢ়িতে পাথরের মতো থাকলে বা মাড়িতে ইনফেকশন হয়ে থাকলে স্কেলিং করতে পারেন, দাতের ভাঙা অংশ থাকলে সেটি তুলে দেবেন, দাতের গোড়া ফুলে গেলে দাতটি রুট কানাল ট্রিটমেন্ট করে রাখবেন। এভাবে রোগ বুঝে চিকিৎসা দেবেন তিনি। মনে রাখবেন প্রাথমিক অবস্থাতে চিকিৎসা না করলে এই সাধারণ অসুখ থেকে ধীরে ধীরে আপনার মূল্যবান দাত নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হবে। তবে কিছু কিছু গন্ধের কারণ ডেন্টাল অরিজিন নাও হতে পারে। সে বিষয়টি তিনি পরীক্ষ করে আপনাকে জানিয়ে দেবেন। তো এতোক্ষণ বলা হলো কি কারণে মুখে দুর্গন্ধ হয় এবং তার সম্ভাব্য সমাধান কি হতে পারে সে বিষয়ে। এবার আপনার পালা-   ১) নিজের মুখে দুর্গন্ধ হচ্ছে কি-না তা পরীক্ষ করে দেখুন এবং ডেন্টিস্টের কাছে গিয়ে যথাযথ সমাধান নিন।  ২) বন্ধু, কলিগ বা সঙ্গীর মুখে দুর্গন্ধ থাকলে তাকে জানিয়ে দিন। এতে লজ্জা পাওয়ার কিছু নেই। হয়তো সে জানেই না। আর যখন আপনি বিষয়টা জানিয়ে দেবেন তখন তার উপকারও হবে, আপনার উপকার তো বটেই।  ������������������������� লেখকঃ  ডা· মুজাহিদুল ইসলাম দৈনিক যায়যায়দিন, নেভম্বর ২০০৭ এ প্রকাশিত

কলার যত গুন

কলার যত গুন
 দিনে তিনটি কলা খেলে স্ট্রোকের ঝুঁকি অনেক কমে যায়। সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে কয়েকজন ব্রিটিশ ইতালির গবেষকের এক গবেষণা সমীক্ষায়। প্রতিদিন সকালের নাস্তা, দুপুরের খাবার ও সন্ধ্যায় একটি করে কলা খাওয়া সাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী।
 কলার মধ্যে থাকে পটাশিয়াম , যা মস্তিষ্কে রক্ত জমাট বাঁধা ২১% রোধ করতে সহায়তা করে। কেউ যদি দিনে সাড়ে তিন হাজার মিলি গ্রাম পটাশিয়াম গ্রহণ করে তা হলে তার স্ট্রোকের ঝুঁকি ৫ ভাগের ১ ভাগ কমে যায়। একটি কলাতেই পটাশিয়াম থাকে ৫০০ মিলিগ্রাম। ফলে দিনে তিনটি কলাই স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে যথেষ্ঠ। কলা ছাড়াও বাদাম , দুধ এবং মাছেও প্রচুর পরিমানে পটাশিয়াম থাকে।  সূত্র : মানবকন্ঠ।